‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত যেতে জোর করছে বলে একটি নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। বাংলাদেশ কেন তাদের দেশ ছাড়তে জোর করবে? এই দেশই তো তাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নই আসে না।’ গতকাল এভাবেই নিজের অভিমত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়নি। কারণ রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক নয়।
মন্ত্রী জানান, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য রোহিঙ্গা শিবিরের প্রধানদের (মাঝি) ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাপান এবং সরকার এই বিষয়ে কাজ করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ‘মুলতবি’ করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে অস্বীকার করায় আজ এটা হয়নি, কিন্তু তা পরে হতে পারে। তবে প্রত্যাবাসন কবে শুরু হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রত্যাবাসন করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু তার আগেই বিভিন্ন শিবিরের রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ শুরু করে এবং নিজ দেশে ফিরে যেতে অনিচ্ছার কথা জানায়।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছিল যে ১৫ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে এবং ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১৫০ জনকে ফেরত পাঠানো হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।