Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহাদেবপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ 
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৮ PM
আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৮ PM

bdmorning Image Preview


নওগাঁর মহাদেবপুরে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণে হাট চকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে।

এছাড়া বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ফরম ফি'র সঙ্গে বকেয়া বেতন, কোচিং, মডেল টেস্টের নামে বাড়তি কোন অর্থ আদায় করা যাবে না। বকেয়া বেতন আদায় করতে হলে নির্বাচনী পরীক্ষার আগে করে নিতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এদিকে অতিরিক্ত টাকা দিতে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এসএসসির ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৮'শ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৬'শ ৮০ টাকা এবং মানবিক বিভাগে ১ হাজার ৬'শ ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা (কোড ১৪৭) এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা (কোড ১৫৬) বিষয়ের পরীক্ষা ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন হবে বলে এ দুই বিষয়ের পরীক্ষার বোর্ড ফি দিতে হবে না।

২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ দু'টি পরীক্ষার ফি দিতে হবে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড একটি ফি নির্ধারণ করে দিলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ১'শ টাকা এবং মানবিক বিভাগে ২ হাজার টাকা আদায় করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীর বাবা জানান, বোর্ডের নির্ধারিত ফি'র বাহিরে আরো অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। একটি বিদ্যালয়ের এমন কাজ রীতিমতো ডাকাতি বলেও জানান তিনি।

অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করে হাট চকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র ও বোর্ডে যাতায়াতসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ নির্ধারিত ফি'র চেয়ে একটু বেশি আদায় করা হয়েছে। যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের শুধু বোর্ড ফি নিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Bootstrap Image Preview