দলের সতীর্থরা যখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট লড়াইয়ের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তখন মিরপুরের একাডেমির মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন সৌম্য সরকার। বিকালের মিষ্টি রোদের মত হাসি মাখা মুখে অনুশীলন করছিলেন সৌম্য । ব্যাটিং ও বোলিংয়ের থেকে ফিটনেসটা নিয়ে একটু বেশি কাজ করলেন। হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সব ফর্মেটেই একাদশে দেখা যেতে পারে এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানকে। সেই জন্যই হয়তো চলছে এতো প্রস্তুতি।
কিন্তু নিজের পারফম্যান্সে কতটুকু সন্তুষ্ঠ সৌম্য জানতে চাওয়া হলে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, না আগের সৌম্য কি জানি না। ঐ যে আমি আগেও বলছিলাম এখন নিজেকে খুশি করার জন্য খেলতেছি। নিজে রান করে এটলিস্ট বাসায় গিয়ে যাতে সুন্দর ভাবে হাসতে পারি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং অ্যাটাক জিম্বাবুয়ের থেকে অনেক ভালো। কিন্তু এই জিম্বাবুয়ের পেস বোলারদের সামনে ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারছে না টাইগার দলের ব্যাটসম্যানরা।তাহলে ক্যারিবিয়ানদের সামনে টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে সৌম্যর জন্য ব্যাটিং করাটা চ্যালেঞ্জ হবে কি জানতে চাওয়া হলে তিনি আরো বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারগুলা খুবিই কুইক। তো আমাদের উইকেটে কুইক বল খেলা একটু টাফ থাকে পেস টা ডাবল পেস থাকে। তো তার পরেও ঐ চিন্তাটা না করে আমরা যেভাবে প্রিপারেশন নিচ্ছি যেটা হচ্ছে কুইক বল, স্লো বল হোক ভালো ভাবে হেন্ডেল করতে হবে। আমরাও ব্যাটসম্যান সিমিলার হিসাবে আছি আমরাও যে খুব খারাপ খেলছি তাও না । অবশ্যই যে রকমই থাকুক আমাদের খুব ভালোভাবে হেন্ডেল করতে হবে। আমরা যত স্মার্টলি হেন্ডেল করতে পারবো আমাদের জন্য ততোই ভালো।
দীর্ঘ দিন অফ ফর্মে থাকার পর সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য। যার ফল হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও থাকছেন দলের সাথে। এখন অপেক্ষা এই সিরিজে নিজেকে কতটুকু মেলে ধরতে পারেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।