নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটন ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশসহ বিএনপির প্রায় ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভরত বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছে পুলিশ। এদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। নয়াপল্টনে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি কেন্দ্র করে সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভিড় করছিলেন। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পুলিশ সড়ক খালি করার চেষ্টা করছিল। এ থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না তা নিয়ে শুরু থেকে নানা মত ছিল। এর মধ্যে ১১ নভেম্বর রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়। এর পরদিন মনোনয়ন ফরমও বিক্রি শুরু করে বিএনপি। মনোনয়ন ফরম বিক্রির শুরুর দিন থেকেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এরমধ্যে গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময় শোডাউন করা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে এমনটি না করতে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির আদেশে বলা হয়, ‘তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা জমা দেয়ার সময় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনসহকারে মিছিল ও শোডাউন করা হচ্ছে, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর ৮ নম্বর বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
ইসির এ আদেশ আসার পরদিনই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।