দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মুশফিকের মুখে হাসি। কেন হাসি সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই । ফুর ফুরে মেজাজে হাসতে হাসতে এলেন প্রেস কনফারেন্সে। মুশির চোখ ও মুখের ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছিলো সে কতটা খুশি। খুশি হবেনই না ক্যান? এমন কীর্তি দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তারই যে প্রথম।
প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করার ইতিহাস রচনা করেছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। আর এই ইতিহাস গড়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারদের মতো কিংবদন্তিদের।
তাই ক্যারিয়ারের সেরা এই ইনিংসটা উৎসর্গ করলেন নিজের স্ত্রীকে।
ডাবল সেঞ্চুরি করার পর মুশফিকের সেলিব্রেশন ছিলো অনেকটা রোম্যান্টিক। তাই খেলা শেষে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় এই ইনিংসটা আপনি কাকে উৎসর্গ করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে মুশি সোজা সাপটা বলে দিলেন,'এটা আমার সেলিব্রেশন যদি বলেন, ডাবল হান্ড্রেট আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করতে চায়। কারণ এটা অনেক স্পেশাল ছিলো। ও (স্ত্রী) আমাকে অনেক ভাবে ইন্সিপায়ার করেছে এবং গতকালকে অনেক ভাবে ইন্সিপায়ার করেছে। সেদিক থেকে বলবো যে মিরপুরেই আমার প্রথম হান্ডেড সেই ২০১০ সালে তো সব মিলিয়ে বলবো যে এটা আমার ক্ষেত্রে বড় একটা মাইল ফলক ছিলো তো ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো এটা কন্টিনিউ করার'।
আর আটটি রান করলে মুশফিক মিরপুরের মাঠে টেস্ট ম্যাচে এক ইনিংসে সব থেকে বেশি রানের মালিক হতেন। সেটা মুশফিক জানতেন না জানলে হয়তো আটটি রান করেই ডিক্লিয়ারের ঘোষণা দিতেন। পাক ক্রিকেটার আজাহার আলী ২২৬ রান করেছে এই মাঠে।