Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলেন কাদের সিদ্দিকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৪ PM
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বর্তমান সরকারের সময়ে যারা পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

শুক্রবার(৯ নভেম্বর) বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে রাজশাহীতে চলা সমাবেশে এ প্রতিজ্ঞা করেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা ঘুষ দিয়ে পুলিশের চাকরি নিয়েছেন, রাজশাহীর এই মাঠে আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, তাদের টাকা আমি ফিরিয়ে দিব। সব টাকা আমি দিতে পারব না, তবে আওয়ামী লীগের আমলে যেসব পুলিশ ভর্তি হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে ফিরিয়ে দিব। কারণ তারা মিলে ১০ লাখেরও বেশি খেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি টাউন হল থেকে সড়ক পথে এখানে এসেছি। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশেরা বাধা দিয়েছে। আমাদের ফেরাতে পারে নাই, এই মাঠের মানুষকেও ফেরাতে পারে নাই। পুলিশ ভাইদের বলি, সংসদে থাকতে অন্তত সাত বার তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। সেজন্য আজ এত বেতন। সুতরাং আমার কথাও একটু-আধটু শুনবেন আপনারা।’

সমাবেশে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে খালেদা জিয়াকে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেই সময় তিনি আমার কথা রাখেননি বলে জনগণ তাকে প্রত্যাখান করেছিল। যার মাসুল তাকে এখনও দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম আলোচনায় বসার জন্য। তিনি দেরিতে হলেও বসেছেন। এটা ঐক্যফ্রন্টের একটা বিজয়।

কাদের সিদ্দিকি বলেন, আজকের জনসভায় বিএনপির যে পরিমাণ নারী কর্মীর উপস্থিতি রয়েছে, তা যদি আমার দলে থাকতো তাহলে তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে ফেলতাম।

তিনি বলেন, বিএনপি রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেয় নাই- প্রথম পতাকা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যারা নোংরা রাজনীতি লালন করছে অদূর ভবিষ্যতে তাদের বিচার করা হবে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তাই সমাবেশে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা।

এসময় ড. কামাল বলেন, ‘দেশের মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সে কারনেই তড়িঘিড় করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। দু'সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ দেয়া হয়েছে। যা সংবিধান পরিপন্থী।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত-উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানি, নির্বাহী সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

প্রসঙ্গত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহীতে এটি চতুর্থ সমাবেশ।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তার আগে ২৪ অক্টোবর সিলেটে ও ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

Bootstrap Image Preview