Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৮ PM
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৮ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে (শহীদ নূর হোসেন দিবস) যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।

আগামীকাল শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী নূর হোসেনসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে, তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহিদ হন। তাঁদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায় জনগণ।

শহীদ নূর হোসেন দিবস: ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ নূর হোসেন আত্মহুতি দেন।

বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্বৈরাচার নিপাত যাক’, স্লোগান ধারণ করে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

Bootstrap Image Preview