প্রধানমন্ত্রী আগেও কথা রাখেনি, এখনও রাখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সভা সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না। কিন্তু আজকের সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসতে পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছে। তারপরও সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।
শুক্রবার(৯ নভেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে না পারলে শেখ হাসিনা আজীবন প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আগামীতেও হবে না বলে দাবি করে তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, অনেক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।
সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের শীর্ষ নেতারা। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দেননি ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বক্তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন। বক্তরা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসির বাতিল করে পুনরায় তসফিলের দাবি তোলেন।
ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুসহ স্থানীয় নেতারা।
প্রসঙ্গত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহীতে এটি চতুর্থ সমাবেশ। এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তার আগে ২৪ অক্টোবর সিলেটে ও ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।