Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিরপুর থেকে নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের ৮ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২১ PM
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


মিরপুর ডিওএইচএস থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের ৮ সদস্যকে আটক করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে নগদ ১৪ লক্ষাধিক টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ৮টি সিপিইউ, ৮টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হল, মোঃ সাফ ওয়ানুর রহমান (৩৪), সুলতান মাহমুদ (২৫), মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৮), মোঃ আবু তাহের (৩৬), মোঃ ইলিয়াস মৃধা (৩০), মোঃ আশরাফুল আলম (২৪), হাসনাইন (৩০) ও মোঃ কামরুল (২৮)।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস-এ  অবস্থিত ৯ নং রোডের ৬৪৪ নং বাড়ির ৫ম তলায় Small Kindness Bangladesh (এসকেবি)  নামক এনজিও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) বিভাগ।

সিটি সূত্রে জানা যায়, Small Kindness Bangladesh (এসকেবি) নামক এনজিও অফিসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলামের মতাদর্শের অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে এনজিও ভিত্তিক হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কের ছদ্ম নামে উক্ত এনজিওর সদস্যরা জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে উগ্রবাদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।

গত আগস্ট মাসে এনজিও ব্যুরো কর্তৃক জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যপরিচালনার অপরাধে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে এই এনজিওটির কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হয়। এ এনজিওটি পাকিস্তান, তুরস্ক, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ইসলাম ভিত্তিক সংস্থা থেকে অনুদান সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়াও দেশে ও বিদেশে হিসাব বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদানের নামে অর্থ সংগ্রহ করে।

সিটি সূত্রে আরও জানা যায়, পাকিস্তান ভিত্তিক সংগঠন আল খিদমত ফাউন্ডেশন উক্ত এনজিও এসকেবির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরে নির্বিঘ্নে জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আল খিদমত ফাউন্ডেশন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও লস্কর-ই-তইয়েবার সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। গ্রেফতারকৃতরা ও উক্ত এনজিওটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থন পুষ্ট। তারা (এসকেবি) এনজিও কার্যক্রমের আড়ালে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিভিন্ন কৌশলে সরকার বিরোধী প্রচারণা, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও রোহিঙ্গাদের প্ররোচিত করে তারা দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অর্থায়ন করে। এছাড়াও, তারা রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির হতে তাদের সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহের কাজ করত। সদস্য সংগ্রহ করে নাশকতামূলক কাজের মাধ্যমে সরকারকে অকার্যকর করা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ৮ জঙ্গিকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড পেলে জিজ্ঞাসাবাদে আরও বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ কমিশনার মুহিবুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই এনজিওর মাধ্যমে পাকিস্তান ভিত্তিক সংগঠন আল খিদমত ফাউন্ডেশন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসী কার্ক্রইউম চালিয়ে আসছিল। তারা সেখানে জঙ্গিবাদে উস্কানি দেওয়া ও সেখান থেকে নাশকতার কাজে ব্যবহারের জন্য সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গ্রেফতাররা।

Bootstrap Image Preview