গত ৫ নভেম্বর ইরানের ওপর সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সর্বকালের সেরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। ইরানের জ্বালানি সংস্থাকে আর্থিক ভাবেকোণঠাসা করাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য। অন্যদিকে ওমান উপসাগরে চাবাহার বন্দর তৈরিতে আগে থেকেই কাজ করছিল ভারত। তাই এই বন্দরে ভারতের কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব পড়বে, তানিয়ে শুরু হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত ভারত এই বন্দর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে বলে আশ্বাস দিল ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়েও তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত ভারতকে তেল আমদানিতে ছাড়পত্র দেয়আমেরিকা। একই সঙ্গে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ইরানের উপকূলে ওমান উপসাগরে চাবাহার বন্দর নিয়ে। এইবন্দর তৈরিতে ২০১৬ থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত। এই বন্দর তৈরি হলে পাকিস্তানের স্থলপথ ও জলপথব্যবহার না করেই সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে ভারত ও আফগানিস্তান। তাই ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়চাবাহার বন্দরের কাজ ঘিরে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা।
শেষ পর্যন্ত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জানায়, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাবাহার বন্দরে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতেছাড়পত্র দিয়েছেন। আফগানিস্তানের উন্নতির জন্য এই বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই বন্দর থেকে পণ্যপরিবহনের জন্য রেলপথ তৈরির কাজও চলবে আগের মতই।’
২০১৬ সালে চাবাহার বন্দর তৈরিতে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত, ইরান ও আফগানিস্তান। তিনটি দেশের মধ্যে অবাধপণ্য পরিবহণই ছিল এই চুক্তির উদ্দেশ্য। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে উন্নয়নের কাজে জড়িত বেশ কিছু ভারতীয়সংস্থ।