‘ঐক্যফ্রন্টের সাত দফায় এমন কিছু নিয়ে এসেছেন যেগুলো নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার একটা বাহানা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা জনগণের দাবি। এই কথা বলার অর্থ হচ্ছে জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণের দাবিতে তাদের কোন শ্রদ্ধা নাই।
বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপ শেষে বেইলি রোডে ড. কামালের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনা অব্যাহত থাকবে। সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে না আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সন্তুষ্টি অর্জন করবো। সংলাপ যদি সফল না হয়, কোনো সমাধান না আসে তাহলে সেই দায় সরকারের।
তিনি বলেন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল আলোচনার সুযোগ রয়েছে। আলোচনা করেছি। আরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে। আমাদের সাত দফা দাবি সরকারের কাছে জানিয়েছি। এখন জনগণের কাছে যাব। আগামীকাল রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রোডমার্চ হবে।
এর আগে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ২য় বারের মত প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী অবায়দুর কাদের জানিয়েছেন, তারা আজকে যে দাবিগুলো নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী তার বেশির ভাগ দাবিই মেনে নিয়েছেন। তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে, সে বিষয়ে তার ঐক্যমত চান।
তিনি বলেন, তারা চেয়েছেন সংসদ ভেঙে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন। এছাড়া তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে তারা যা বলেছেন, তা আমাদের দেশে চালু নেই। তবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী টাস্কফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।