আবদুল্লা আল মাসুদ, শাবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ সেশনের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টার ভর্তি ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আলাদা আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাতীয় ছাত্রদল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অর্জুনতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্রর সভাপতিত্বে এবং নাজিরুল আযম বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মইনুদ্দিন মিয়া, তৌহীদুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।
এসময় ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎর রুদ্র বলেন, পাঁচ বছরের ব্যবধানে শাবিতে ভর্তি ফি দ্বিগুন করা হয়েছে। আমরা মনে করি এ সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণকেই উৎসাহিত করবে । অতিরিক্ত ফি এর কারণে বিশ^বিদ্যালয়ের দ্বার নিম্নবিত্ত ও সমাজের একাংশের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ভর্তি ফি বৃদ্ধির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
অন্যদিকে জাতীয় ছাত্রদল একই সময় একাডেমিক বিল্ডিং 'ডি' এর সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ^বিদ্যালয় বাস স্টপ এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে জাতীয় ছাত্রদলের সভাপতি রামকৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুপেল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি অমৃত রায়, অর্থ সম্পাদক ওসমান গণি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিহির দেবনাথ প্রমুখ।
এসময় সভাপতি রামকৃষ্ণ দাস ভর্তি ফি বাড়ানোয় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অতিদ্রুত ভর্তি ফি কমিয়ে আগের ভর্তি ফি বহাল রাখার জন্য দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ওয়েবসাইটে টাকার একটি পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু তা এখনো একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন হয় নি। একাডেমিক কাউন্সিলে মিটিংয়ের পর ভর্তি ফির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তবে ফি এতো বেশি বাড়ানো হবে না বলে জানান তিনি।