সিলেট টেস্ট জয় থেকে বেশ দূরে ছিটকে গেলো বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর আরিফুলকে নিয়ে ২১ রানের জুটির পর বাংলাদেশ শেষ ভরসা মুশফিককে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলনে ফিরে গেলেন। তাই এখনই সিলেট টেস্ট হার চোখ রাঙাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংস ২৮২, ২য় ইনিংস ১৮১
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস ১৪৩
বাংলাদেশ: ২য় ইনিংস ১৩৬-৬
ক্রিজে আছেন: আরিফুল(১০) ও মিরাজ (২)
মুশফিককে ফেরালেন মাভুটা: লাঞ্চ বিরতী থেকে ফিরে আরিফুলকে নিতে নতুন সূচান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দু জনে মিলে ক্রিজে কিছু সময় স্থায়ী হলেও আবাবো আঘাত আনল জিম্বাবুয়ে শিবির। দলীয় ১৩২ রানের মাথায় মাভুটার বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতে হলো মুশফিককে। তার ব্যাট থেকে ৪৪ বল থেকে ১৩ রান আসে। তার বিদায়ে জয় থেকে বেশ দূরে ছিটকে গেলো বাংলাদেশ এটা অনেকটাই নিশ্চিত।
লাঞ্চের আগে মাহমুদু্ল্লাহ ও শান্তর বিদায়: শান্তর সঙ্গে ১৯ রানের জুটি বেধে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলনে ফিরে গেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সিকান্দার রাজার তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ৪৫ বল থেকে ১৬ রান করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি ০ রানে আউট হয়েছিলেন। এরপর ক্রিজে আসা মুশফিককে বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারলেন না। দলীয় ১১১ রানে লাঞ্চের ঠিক আছে আউট হলেন তিনি। ৩২ বল থেকে ১৩ রান করেন তিনি। তার উইকেটটি পান মাভুটা। ম্যাচ জীতলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১০ রান আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৫ উইকেট।
লাঞ্চের আগেই কায়েস ফিরলেন: ১০৩ বল থেকে ছয় বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করে আউট হয়ে কায়েস। সিকান্দার রাজার বল লেগ সাইডে হাটু গেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড অাউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে এটি রাজার দ্বিতীয় উইকেট প্রাপ্তি।
জার্ভিস তুলে নিলেন মমিনুলকে: দলীয় ৫৬ রানে আউট হয়েছিলেন লিটন দাস। এর মাত্র ১১ রানের মাথায় জার্ভিসের বলে বোল্ড আউট হলেন মমিনুল হক। ১৩ বল থেকে ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১১ রান।
রাজা পরাস্থ হলে ফিরলেন লিটন: দলীয় ৫৬ রান প্রথম উইকেট হারালো বাংলাদেশ দল। লিটন দাসকে এল বি ডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আউট করলেন রাজা। তবে আম্য়ার প্রথমে লিটনকে আউট দিতে অস্বকৃতী জানালে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের পক্ষে যায়।
সোমবার শেষ বিকালে জিম্বাবুয়ের দুই ইনিংসে সিলেটের অভিষেক টেস্ট জিততে স্বাগতিক বাংলাদেশের লক্ষ্য দাড়ায় ৩২১ রান। তবে এদিন কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান তোলে দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস।
সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের পক্ষে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৪৮, সিকান্দার রাজা ২৫, সিন উইলিয়ামস ২০, ব্রায়ান চারি ৪, ব্রেন্ডন টেইলর ২৪, পিটার মুর শুন্য, রেগিস চাকাবভা ২০, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৭, ব্র্যান্ডন মাভুতা ৬, কাইল জার্ভিস অপরাজিত ১ ও তেন্ডাই চাতারা ৮ রান করেন। সকটি উইকেট হারিয়ে তারা ১৮১ রান তোলে। বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ৬২ রানে ৫টি, মেহেদি হাসান মিরাজ ২টি ও নাজমুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল।
রবিবার প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় দিনের শেষ দুই সেশন শেষ না হতেই ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অভিষিক্ত আরিফুল হক খেলেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে চাতারা ও সিকান্দার রাজা ৩ টি করে উইকেট নেয়। এছাড়া জার্ভিস ২ টি ও উইলিয়াম ১টি উইকেট নেন।
শনিবার জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অল আউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়াম। এছাড়া পিটার মুর ৬৩ ও মাসাকাদজা করে ৫৩ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ টি উইকেট নেন তাইজুল। এছাড়া অপু ২টি এবং মিরাজ , মাহমুদুল্লাহ ও রাহি ১টি করে উইকেট নেন।