মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে।
জরিপে ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে থাকলেও সোমবার কয়েকটি মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে কমেছে। তবে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি মানুষের সমর্থনও আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৪ মিলিয়ন ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। ৫০০ কোটি ডলারের নির্বাচনে জয়ের আশা করছে দুই দলই।
রবিবারও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। গতকাল তারা শেষ দিনের প্রচারণায় নামেন। দুইজনই নিজ দলের ভোটারদের কেন্দ্রে আসার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রচারণায় সম্প্রতি অভিবাসন ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নিলে সীমান্তের অপরাধ বেড়ে যাবে। আমেরিকার বাইরের মানুষই আমেরিকায় কর্তৃত্ব চালাবে।
এব্যাপারে ওবামা জানিয়েছেন, আমেরিকাকে বিভক্ত করবেন না। অনেকবার এমন চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি অভিবাসন এবং স্বাস্থ্য বিল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাজের নিন্দা জানান। তিনি আমেরিকার চরিত্র কেমন হবে তা ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, অভিবাসন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান তরুণদের ভোট টানতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর পরপর। তবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে ভোট হয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে। প্রতিটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের (৪৩৫টি) সবগুলো আসনে ভোট হয়। কারণ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বা কংগ্রেসম্যানদের মেয়াদ দুই বছর। সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে এবার ৩৫টিতে ভোট হচ্ছে। সিনেটরদের মেয়াদ ৬ বছর। ৩৬টি রাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচন হবে। নতুন কংগ্রেসের অধিবেশন বসবে আগামী জানুয়ারিতে।- বিবিসি