একবার পাড়ার ক্রিকেট খেলায় বাজির টাকা দিতে গিয়ে বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। বাবা ছিলেন পেশায় ক্রিমিনাল ল ইয়ার আর তার ছেলেই কি না এমন অপরাধ করলেন?পটেক থেকে সন্তান টাকা চুরি করেছে এটা অপরাধ ছিলো তার পরেও ছেলেকে কিছু বলেননি বাবা।উল্টো তখনই দোকানে গিয়ে একটা ব্যাট ও জার্সি কিনে দিলেন।
শুধু তাই নয়, তার পর থেকে ছেলেকে প্রতিনিয়ত জার্সি কিনে দিতেন। যাতে জার্সি পরিহিত অবস্থায় তাকে কেমন দেখায় সেটা বুঝতে পারেন।বাবার এমন ভালোবাসায় হয়তো তাকে এমন সাহস যোগিয়েছে।যার জন্য আজ তিনি বর্তমান এথলেটসদের মধ্যে সেরা দশে আছেন।কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস যে ছেলের এমন খ্যাতি দেখে যেতে পারলেন না। পারলেন না ছেলেকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখতে।ভাবছেন কার কথা বলছি। যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন।তিনি হলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি।আজ এই শক্তিমান ক্রিকেটারের ৩০তম জন্মদিন।
ষ্টার স্পোর্টসকে দেয়া ট্রিবিউট সাক্ষাৎকারে ভিরাট কোহলি জানালেন তাঁর খ্যাতির পিছনের গল্প।যে গল্প সবার চোখে পানি আনতে বাধ্য করবে।হতো পৃথীবিতে এমন সার্থপর সন্তান খুব কমই আছেন। যে বাবার লাশ হাসপাতালে রেখে নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন।কিন্তু নিরুপায় বিরাট বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই তাকে এই কাজটি করতে হয়েছে।
বুকভরা কষ্ঠ নিয়ে বিরাট সেদিন রঞ্জি ট্রফি খেলেছিলেন।বাবার জন্য তাঁর বুকের ভিতর হতো ফেটে যাচ্ছিলো কিন্তু মুখ ফুটে সেটি বলতে পারেননি।
ষ্টার স্পোর্টসকে দেয়া ট্রিবিউট সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, আমার বাবাকে সন্ধায় আমি নিজে বেডে শুইয়ে রেখে এসেছিলাম। বাবা রাত ৩ টার দিকে মারা যায়। আমার পরের দিন ম্যাচ ছিলো রঞ্জিতে। সকালে মরা বাবার পা ছুয়ে ম্যাচ খেলতে যাই এবং ম্যাচ শেষ করে নিজের হাতেই বাবার চিতায় আগুন দেই।
এরপর অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জেতার পরে ইন্ডিয়াতে কোহলির ব্যাপক পরিচিতি বেড়ে যায়। সেই পরিচয় থেকেই একটা প্রেমেও জড়ান কোহলি। কোহলির বান্ধবির ছিলো জন্মদিন আর কোহলি তাকে সরাসরি উইশ না করে গিয়েছিলেন ম্যাচ খেলতে। ফলাফল স্বরুপ হয়ে যায় তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ।
কোহলির বউ এখন বলিউডের অন্যতম সেরা আবেদনময়ী নারী।একজন কোহলিকে তার খেলার মাঠের পারফর্মেন্স এবং ফর্ম দিয়ে বিচার করা যায় কিন্তু তার ত্যাগ?খেলার প্রতি ডেডিকেশন,প্যাশন,ভালোবাসা মাপার যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি এখনো।সেরা হতে চাওয়ার ক্ষুধা যদি অপরাধ হয় তবে আমিও অপরাধী।