খুরশিদ আলম শাওন রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা ভূমি অফিসে স্থায়ী ও জন্মসূত্রের পরিচয় সঠিক বয়স গোপন করে অনিয়মভাবে চাকরি করে আসছেন শিকল বাহক পদের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নুরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
নিয়মনুযায়ী এ ধরনের চাকরিগুলোর ক্ষেত্রে জন্মসূত্রে স্থায়ী বাসিন্দারা তাদের নিজস্ব জেলায় চাকরির আবেদন করতে পারবেন এবং চাকরি হওয়ার পর নিজ জেলার যে কোন উপজেলায় চাকরি করতে হবে বলে বিধি-বিধান রয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, নুরুল হুদা শিকদার নাটোর জেলার নাটোর সদর উপজেলার তেলকুপি ঘটি ঠাকুরলক্ষিকুল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তিনি সে পরিচয় গোপন করে ঠাকুরগাও জেলার ঠাকুরগাও পৌরশহরের রোড এলাকার ছিট চিলারিং ষ্টেশন মাছ হাটি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দার ঠিকানায় চাকরিতে আবেদন করেন এবং সব প্রক্রিয়া শেষে ১২ই জুন ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগদান করেন।
অভিযোগ রয়েছে, তার বর্তমান বয়স সরকারি চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করেছে। প্রকৃত বয়স গোপন করে সংশোধন করেছেন জাতীয় পরিচয় পত্রসহ সব কাগজ পত্রের। চাকরিতে দেওয়া জাতীয় পরিচয় পত্রে তার বয়স উল্লেখ্য রয়েছে ১লা জানুয়ারী ১৯৮২ সাল বলে জানা যায়।
তার স্থায়ী ঠিকানা নাটোর উপজেলার ঠাকুর লক্ষিকুল গ্রামের আল আমিন ও মানিক শিকদার সম্প্রতি মুঠোফোনে বলেন, নুরুল হুদা শিকদার নাটোরে জমি মাপার আমিন আল আমিনের সাথে চেইনটানার কাজ করতো। কিন্তু হঠাৎ করে তার ঠাকুরগাও জেলায় ভূমি অফিসে সরকারি চাকরি হওয়ায় তিনি সেখানে চলে গেছেন বলে তারা নিশ্চিত করেন।
এদিকে ঠাকুরগাও সদরের তার দেওয়া ঠিকানার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জব্বার ও আঃ করিম আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, এই নামে এলাকায় স্থায়ী কোন বাসিন্দা আছে বলে আমাদের জানা নেই।
পরিচয় ও বয়স গোপন করে চাকরি পাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ভেরিভিকেশনের। যেখানে অন্য বিভাগের একজন ব্যক্তি সবকিছু গোপন করে চাকরি করছেন কিভাবে। তাহলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও ভেরিভিকেশনের কতটা দুর্বলতা রয়েছে নাকি মোটা উৎকোচের বিনিময়ে সবকিছু গোপন রাখা হয়েছে জানতে চায় ঠাকুরগাও জেলাবাসী।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসের শিকল বাহক নুরুল হুদার নিকট থেকে তার অভিমত জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা বিষয়টি উর্দ্ধৃতন কর্তৃপক্ষের নজরে দিবেন বলে মন্তব্য করেন।