জাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আলাদা মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা কলা ও মানবিক অনুষদে (সি ইউনিট) মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা মেধা তালিকা তৈরি করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রবিবার তিন ভর্তিচ্ছুর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ভর্তি কমিটির সচিব এবং কলা ও মানবিক অনুষদের ডিনকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট আবু রায়হান উদ্দিন।

ব্যারিস্টার ইমরান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ ও ১৯৮৫ সালের আইন অনুসারে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সমমানের অধিকারী। কিন্তু ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিকী অনুষদ) মেধা তালিকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা মেধা তালিকা তৈরি করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক, যা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এর কারণে আদালত এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে এ আদেশ পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান বলেন, ‘আমরা শুনেছি আদালতে তিন শিক্ষার্থীর দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। আদালত এক সপ্তাহ সময় বেধে দিয়েছেন। আমরা রিটের কপি হাতে পেলে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব পাঠিয়ে দেব।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সি ইউনিটের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। এই প্রেক্ষিতে ১লা নভেম্বর ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. নওসাজ্জামান ও রাকিব হোসেন নামের তিন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। আগামী ১৮ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।