Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের পর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা নিতে কখনই ভুলবেন না

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪২ PM
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


একজন পুরুষ নিজের ব্যক্তিগত জীবনে যেমনই হোক না কেন, সকলেরই মনের মাঝে আছেন একজন স্বপ্নের নারী। আর বিয়ে করার সময় এই স্বপ্নের নারীর সাথে মেলে এমন কাউকেই জীবনসঙ্গিনী করতে চান তাঁরা। বিশেষ করে এমন ৫টি ব্যাপার আছে, যা নিজের স্বপ্নের নারী বা স্ত্রীর মাঝে খুঁজে থাকেন পুরুষেরা। এই ৫টি গুণ কোন নারীর মাঝে থাকলে তাঁকেই আদর্শ স্ত্রী হিসাবে ধরে নেন পুরুষেরা।

কী সেই সিদ্ধান্ত? চলুন, জেনে নেই-

১) মানসিক সম্পর্ক শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নয়। পরিবারের সঙ্গে হওয়াটাও জরুরি। শ্বশুর-শাশুড়ি বা বাড়িতে কোনও ভাশুর, দেওর বা ননদ থাকলে তাঁদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। শুধু মেয়েদের নয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। একথা ঠিক যে রীতি অনুযায়ী ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হয় না। তার মানে এই নয় যে তাদের কোনও দায়িত্ব বর্তায় না।

২) বিয়ের কিছু পর থেকেই দম্পতির থেকে ‘ভাল খবর’ চায় পরিবার। যেন সন্তান হওয়ার দম্পতির জীবনে একমাত্র লক্ষ্য। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিতে হবে দম্পতিকে। পরিবারকে সুখী রাখতে সন্তান নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তো হতেই পারে। কিন্তু তারপর? তারপর তো সেই সন্তানকে মানুষ করার ভার নিতে হবে বাবা মা-কেও। সেখানে পরিবারের কোনও ভূমিকা নেই। সেই কথা মাথায় রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে দম্পতিকে। তাঁদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা সন্তান নেবে, নাকি শুধু দু’জনেই বাকি জীবনটা কাটাবে।

৩) ফুড হ্যাবিট কিন্তু সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পারে। ধরুন আপনি নিরামিষাশী। কিন্তু আপনার সঙ্গী আমিষ ভক্ত। সেক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সরাসরি যদি নাও হয়, মন খারাপ হতেই পারে। তখন কিন্তু স্বামী ও স্ত্রী দু’জনকেই সমস্যা সমাধানে অবতীর্ণ হতে হবে।

৪) কখনও নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন না। শারীরিক নয়। এখানে কথা হচ্ছে মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে। ধরুন দু’জনের ফোন পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা থাকে বা দু’জনের কারও সোশাল সাইটের পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জানে না। সেক্ষেত্রে কিন্তু সেগুলি জানার চেষ্টাও করবেন না। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি জগৎ থাকে। সেটি নিয়ে তাঁকে থাকতে দিন। প্রয়োজন হলে একসঙ্গে বসে কথা বলুন।

৫) স্বামী ও স্ত্রী, দু’জনেই যদি আর্থিকভাবে সাবলম্বী হন তবে একে অপরকে সাহায্য করুন। এক্ষেত্রে স্ত্রীর যেমন উচিত সমস্যায় পড়লে স্বামীকে আর্থিক সাহায্য করা, স্বামীরও তাই কর্তব্য। উপরন্তু মাঝে মধ্যে দু’জন দু’জনের জন্য সারপ্রাইজ ডেট বা উপহারের আয়োজন করুন। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

Bootstrap Image Preview