সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হোয়াইট হাউজের সঙ্গে ফোনালাপে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে বিপজ্জনক উগ্রবাদী এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহখানেক পর যুবরাজ মোহাম্মদ হোয়াইট হাউজে ফোন করেছিলেন। তখনও সৌদি আরব এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেনি।
শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের এ বিষয়ক প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ অক্টোবর যুবরাজ মোহাম্মদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোলটনকে ফোন করেন।
ফোনে তিনি খাশোগিকে মিশরের নিষিদ্ধ ঘোষিত দল ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের’ সদস্য বলে বর্ণনা করেন। যুবরাজ মোহাম্মদ ফোনে তাদেরকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুরক্ষার অনুরোধও করেন বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
পত্রিকায় বলা হয়েছে, খাসোগির মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য থাকার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার।
খাসোগির পরিবার আরও বলেছে, এ ধরনের দাবি হাস্যকর। কোনো দিক দিয়েই খাসোগি বিপজ্জনক ব্যক্তি ছিলেন না। বেঁচে থাকার সময় খাসোগি নিজেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবার এ কথা অস্বীকার করেছেন।
খাসোগির পরিবার এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। সৌদি আরব খাসোগির পরিবারের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরপরই পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।