দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনে যুক্ত হচ্ছে আরো এক জোড়া যাত্রীবাহী রেল।
শনিবার (৩ নভেম্বর) থেকে এ রেল চলাচল শুরু করবে । যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে রেলওয়ে কতৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ লাইনে জোড়া রেল চালু হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের মাঝে ফিরে আসবে স্বস্থি।
গোমদন্ডী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাফর বলেন , চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে আগে একজোড়া যাত্রাবাহী রেল চলাচল করতো। সম্প্রতি দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে আরো এক জোড়া রেল সার্ভিস চালু হচ্ছে এ লাইনে।
বর্তমানে এ লাইনে চলাচলরত রেলটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে প্রতিদিন দোহাজারী স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছাড়ে সন্ধ্যা ৬টার সময়। আর সকাল ৬টা ৪০মিনিটে দোহাজারী থেকে নগরীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
শনিবার থেকে চালু হওয়া রেলটি সকাল ১১টায় দোহাজারী থেকে ছাড়বে এবং বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসবে। এছাড়া দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগণ ট্রেন চলাচল করে এ লাইনে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫০ সালের দিকে দোহাজারী-চট্টগ্রাম লাইনে যাত্রীবাহী ছয় জোড়া রেল চলাচল শুরু হয়। নানা অজুহাত ও লোকসানের কারণে ১৯৮০ সালে একযোগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে যাত্রী সাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে নব্বইয়ের দশকে এক জোড়া রেল চালু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর এ লাইনটি সংস্কার ছাড়াই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বছর খানেক চলাচলের পর ২০০২ সালে ১৫ জানুয়ারি তা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
২০১৩ সাল থেকে এ লাইনে দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগণ ট্রেন চলাচল শুরু করে। যাত্রীদের ওঠা নামায় প্ল্যাটফর্ম, আধুনিক রেলস্টেশন, ছোট বড় রেলওয়ে সেতু ও লেভেলক্রসিং নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
রেলযাত্রী হাসিনা বেগম বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রী সাধারণ দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। রেলের সংখ্যা না বাড়ায় এ ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
তিনি আরো বলেন, নতুন করে আবারো এক জোড়া রেল যুক্ত হচ্ছে জেনেছি। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর। তবে রেলে আধুনিক বগি বাড়ালে যাত্রীরা যাতায়াতে ভোগান্তি নিরসন হবে।