ভিতরে চলছে সংলাপ, গণভবনের সামনে মোমবাতি নিয়ে মানববন্ধন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ অর্থবহ করতে গণভবনের সামনে মোববাতি নিয়ে মানববন্ধন করছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাকর্মীরা। গণভবনের মূল ফটকের সামনে প্রায় ৫০ জন তরুণ সংঘাত নয় ফলপ্রসূ সংলাপের দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তারা মোহাম্মদপুরের কলেজ গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

সংলাপকে ফলপ্রসূ করার দাবিতে ছোট ছোট স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় সবার হাতে মোমবাতি ও ফ্যাস্টুন দেখা যায়। ফেস্টুনে লিখা ছিল 'জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া'।

আজকের সংলাপকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলছেন, কোনও অশান্তি নয় শুভ সংলাপ চাই। কোনও ধরনের হানাহানি নয়, সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাই। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা। নিউজ লেখা পর্যন্ত তারা গণভবনের সামনে অবস্থান করে মানববন্ধন করছেন।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা সংলাপের জন্য সন্ধ্যা ৬-৪০ মিনিটে গণভবনে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে সংলাপ শুরু হয়।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও ড. আব্দুল মঈন খান গণভবনে পৌঁছান।

ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতারা হলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নাগরিক ঐক্য থেকে এর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এসএম আকরাম। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিক উল্লাহ। জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, প্রেসিডিয়াম সদস্য তানিয়া রব। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর,আ ব ম মোস্তফা আমিন ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ২১ নেতা সংলাপে অংশ দেবেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ যোগ দেবেন- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, রমেশচন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম। এ ছাড়া সরকারি জোটের নেতাদের মধ্যে জাসদ একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের আরেকাংশের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াও উপস্থিত থাকবেন।

সরকারি দলের দাবি, আলোচনা যা-ই হোক, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের দাবি, সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করছে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপি।

গণভবনের মূল ফটকের সামনে প্রায় ৫০ জনের মতো তরুণ সংঘাত নয় ফলপ্রসূ সংলাপের দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন।