Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের ২ নেতা, বাকিরা রাস্তায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৫২ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৫২ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের পথে রওনা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তবে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও ড. আব্দুল মঈন খান গণভবনে পৌঁছেছেন।

গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তার বেইলি রোডের বাসা থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রওনা হন।

শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চেয়ে গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এ চিঠি পৌঁছে দেন।

সেই চিঠির বিষয়ে ২৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে সাড়া দেন। এরপর ঐক্যফ্রন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হয়।

গত ৩০ অক্টোবর দলনেতা হিসেবে ড. কামাল হোসেনসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তালিকা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠায় ঐক্যফ্রন্ট। প্রতিনিধি দলের বাকিরা হলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন এবং রবের স্ত্রী ও সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও তার দলের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান মুহাম্মদ মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার এই তালিকার সঙ্গে আরো ৫ সদস্য যুক্ত হন। তারা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের মুকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দায় আফ্রিক ও আ ও ম শফিকউল্লাহ।

সরকারি দলের দাবি, আলোচনা যা-ই হোক, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের দাবি, সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করছে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপি।

Bootstrap Image Preview