ইন্দোনেশিয়ায় লায়ন এয়ারের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের আর কেউ বেঁচে নেই। উদ্ধার কর্মীরা ৩৭টি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রতিনিধি বামব্যাং সুরিও আনজি।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা স্থল থেকে অনেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন আর ওই বিমানের কেউ জীবিত নেই।’
এদিকে বিমানটির ব্ল্যাক বক্সেরও সন্ধান মেলেনি। এখন পর্যন্ত বিমানটির যাত্রীদের বেশ কিছু দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের দেহাবশেষ খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাওয়ায় এতে ৩৭টি মৃতদেহ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহগুলো ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরো জানান, অনুসন্ধান এলাকার পরিধি বাড়িয়ে ১৫০ বর্গ নটিক্যাল মাইল করা হয়েছে।
এর অাগে, সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানী জাকার্তা থেকে সুমাত্রা দ্বীপের পাংকাল পিনাং শহরে যাওয়ার সময় বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ওড়ার ১৩ মিনিট পর কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,১১৩ মিটার উপরে ছিল। সমস্যা বুঝতে পেরে বিমানের পাইলট আবার বিমানটি নিয়ে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন এবং কন্ট্রোল টাওয়ার তাকে সে অনুমতিও দিয়েছিল কিন্তু এরপরই তিনি যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন।