প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের মাধ্যমে আগামী দিনে সম্ভাবনা দেখছে ঐক্যফ্রন্ট। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমি আশা করি সংলাপের মাধ্যমে আগামি দিনে একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। কোন সংলাপ ব্যর্থ হয় না বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চিঠি দিয়েছিলাম ৭ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি আলোচনার জন্য রাজি হয়েছেন। সময় দিয়েছেন। আগামীকাল সন্ধ্যা ৭ টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১৬ জন যাব গণভবনে। সেখানে আলোচনা হবে। এর পরবর্তীতে ঢাকা, রাজশাহী, বরিশালসহ আমাদের আরো অনেকগুলো প্রোগ্রাম আছে। সুশীল সমাজের সাথে, সম্পাদকদের সাথে আমাদের বৈঠক আছে। ওলামা মাশায়েখদের সাথে, পেশাজীবীদের সাথে, শ্রমজীবীদের সাথে আমাদের বৈঠক আছে।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেবে। সংবিধান সম্মত আলোচনার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রব বলেন, দেশ সংবিধানের জন্য নাকি দেশের জন্য সংবিধান। দেশের জন্য, মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সব সমস্যার জন্য আলোচনা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমরা কথা বলব কি বলব না সেটার দিকে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর এই সংলাপের আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে একটি দরজা খোলা হল। আলোচনা হচ্ছে, হবে এবং চলবে।
জাতীয় সমস্যার জন্য মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের যে আকাঙ্খা, চেতনা এবং তাদের লক্ষ বাস্তবায়নে কাজ করছে ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরোপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন যেন হতে পারে, সবাই যাতে ভোট দিতে পারে, এগুলো নিয়ে ৭ দফার আলোকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা গতকাল সোমবার বলেছি খালেদা জিয়ার মামলাটা পেন্ডিংয়ে আছে। আপিল হয়েছে। আমরা মনে করি এই মামলাটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ২/৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে পারে এটা মানুষ বিশ্বাস করে না। আমরা কিভাবে বিশ্বাস করব। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতির নিন্দা জানাই।
বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খোলা মন নিয়ে যদি সংলাপে বসে তাহলে আশাবাদী হওয়ার কাটণ আছে।