Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট একটি পণ্যে পরিণত হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩১ PM
আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জন্যে দেয়া সার্টিফিকেট একটি পণ্যে পরিণত হয়েছে। এটি অনেকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমি সার্টিফিকেট নেইনি। তাতে কি আমি মুক্তিযোদ্ধা নই? আমরা কি সার্টিফিকেটের জন্যে যুদ্ধ করেছি না দেশ স্বাধীন করার জন্যে যুদ্ধ করেছি? কেন মানুষ মিথ্যার আশ্রয় নেয়? মিথ্যা দিয়ে কি কিছু প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?

আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ একনেকে ২৪টি প্রকল্পের জন্যে ২৪ হাজার ৭৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ৪৬০ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প হাতে নেয়ে হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ হচ্ছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমরা যেখানেই থাকি না কেন তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান করবো। তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেব। যখনই সময় হবে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবো।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাদের জন্যে বেশকিছু প্রকল্পও নেয়া হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের চোখে দেখা হয়। আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে সব কিছু করবো।

এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেটকে ব্যবসায়ী পণ্যে পরিণত করেছেন। এটি ঠিক না।  

তিনি নিজের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।

আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর চেয়ারপারসন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে চলতি বছরের ১২তম সভায় ২৪টি প্রকল্পের জন্যে ২৪ হাজার ৭৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের ১৪৯তম বৈঠক বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

Bootstrap Image Preview