ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বাজারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৮/১০ টি কসাইয়ের দোকানে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে ভেজাল মাংস বিক্রি করায় জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে।
গত ২৫ অক্টোবর সকালে ভালুকা বাজার কসাই পট্রিতে পেটে বাছুরসহ গাভী জবাই করায় লিটন ও মাহবুব নামে দুই সহযোগী কসাইকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়।
৪ দিন দোকান বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকাল হতে পুনরায় ওই দোকানে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে পৌর এলাকার লাইসেন্সবিহীন এসব কসাইরা বছরের পর বছর যে যার মত ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই গোপন স্থানে রোগা, অস্বাস্থ্যকর গরু, গাভী, ছাগী জবাই করে তা দোকানে তুলে দেদারসে বিক্রি করছে। ছাগী বা বরকীর মাংস খাসীর মাংসের সমান দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
সোমবার সকালে ভালুকা উপজেলা মসজিদ হতে কয়েকজন মুসুল্লি ভালুকা বাজারের ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন একটি ছাপড়া ঘরের সামনের ডালা ফেলা অবস্থায় ভিতরে ছাগী (বরকী) জবাই করছে শোনে তা দেখতে যান। এসময় তারা দেখতে পান ভিতরে থাকা বেশ কয়েকটি ছাগী জবাইয়ের প্রস্তুুতি চলছিল আর পাশে ছাগলের চামড়া স্তুুপকৃত রয়েছে।
ভিতরে থাকা ব্যক্তিরা জানায়, ওই ঘরটি বাবুল কসাইয়ের পশু জবাইখানা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হেলাল আহম্মেদ জানান, প্রজননক্ষম কোন গাভী, বকন, ছাগী, ভেড়া জবাই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাছার ডাক্তারী পরীক্ষার ছারপত্র ছাড়া পশু জবাই নিয়ম বহির্ভূত। ভালুকা পৌর এলাকার হাট বাজারে মাংস বিক্রেতাদেরকে প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কোন লাইসেন্স দেওয়া হয়নি এটা পৌরসভার এখতিয়ারভূক্ত।
পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায় কসাইদের কোন লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।