২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নদীতে নেমেছেন ভোলার দৌলতখানের জেলেরা। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই তারা জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে নতুন উদ্যোমে ইলিশ শিকারের উৎসবে মেতে উঠেছেন।
একই সাথে জেলেদের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মৎস্য আড়তগুলোও। ইলিশ শিকারের প্রথম দিনেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।
দৌলতখানে সৈয়দপুর এলাকার জেলে বাবলু মাঝি জানান, প্রথমদিন নদীতে ইলিশ শিকারে গিয়ে ৩০ হালি মাঝারি সাইজের ইলিশ পেয়েছি। সেই ইলিশগুলো আড়তে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। মৌসুমের প্রথমে সংকট থাকলেও এখন মনে হচ্ছে, ভালোই ইলিশ পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করে মৎস্যবিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে এ ২২ দিনে ৪৩২ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ভোলায়। প্রশাসনের সফল অভিযানের কারণে ৭০ শতাংশ মাছ ডিম ছাড়তে পেরেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ৯৯ শতাংশ মাছ রক্ষা হয়েছে এবং ৭০ শতাংশ মাছ নিরাপদে ডিম ছেড়েছে। এ বছর এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ইলিশের চাহিদা ১৫/২০ হাজার মেট্রিক টন। এ চাহিদা মিটিয়ে এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ ঢাকা, বরিশাল ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা যাবে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে বলেও জানান তিনি।