Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্মঘটে জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে নরসিংদীর কৃষকরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪৫ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ

নরসিংদী জেলায় গ্রামাঞ্চলসহ এলাকাগুলোতে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে জেলার অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে বেশকিছু পাম্পে সব ধরনের জ্বালানি তেল শূন্য হয়ে পড়েছে।

নরসিংদীতে টানা ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে জ্বালানি তেলবাহী কোনো ট্যাঙ্কলরি এই জেলায় ঢুকতে না পারায় এই সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুকসহ ৫ জন সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার মামলায় গত বুধবার মানিকগঞ্জের একটি আদালত চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এরই ক্ষোভে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মসূচি দেওয়ায় চরম বেহাল অবস্থা অবস্থা বিভিন্ন দূর-দূরান্তে যাওয়া জনসাধারণের।

টানা ২ দিন ধর্মঘট চলায় বিভিন্ন ডিপো থেকে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কার নরসিংদীতে ঢুকতে না পারায় গত কয়েকদিন ধরেই জেলার পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের সঙ্কট দেখা দেয়। সেই সঙ্কট আজ সোমবার বড় আকার ধারণ করে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সোমবার দুপুরের পর থেকেই রায়পুরা উপজেলার মরজাল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে তেল পাম্পই তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। মোটরসাইকেল চালকদের তেল নিতে এসে অনেকটা নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে। নরসিংদী শিবপুর জয়নগর এলকার শাহিন মিয়া  নামে এক মোটরসাইকেল চালক তেল না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহীরা জিম্মি হয়ে পড়েছি।

শুধু শাহিন মিয়াই  নয়, টানা ধর্মঘটের কারণে চলতি সিজনে মৌসুমে সেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার হাজার হাজার কৃষক। সোমবার দিনভর বেশ কয়েকজন কৃষককে ডিজেলের জন্য বিভিন্ন পাম্পে হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখা যায়।

রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকার কৃষক সোহেল জানান, সকাল থেকেই জেলা এ পাম্পে এসে ডিজেলের জন্য ঘুরেও এক লিটার তেলও পাওয়া যায়নি।

একই কথা জানালেন, রায়পুরা উপজেলার কৃষক দানা মিয়া। তিনি জানান, এখন ধানের বীজ রোপনের মৌসুম। এসময় জমিতে সেচ দিতে না পারলে বিপর্যয় ঘটবে ধানের বীজ রোপনে।

এভাবে যদি শ্রমিকদের আরও কর্মসূচি চলতে থাকে তবে গ্রামাঞ্চলসহ শহরাঞ্চলগুলোতে পণ্যবাহী কাচামাল রফতানি না করতে পারলে কৃষকরা বিপাকে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এখনই এ সমস্ত পরিবহন ধর্মঘট সঠিক পন্থায় আলোচনার মাধ্যমে সামাধান করা উচিৎ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

Bootstrap Image Preview