Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিধ্বস্ত বিমান লায়নের চালক ছিল ভারতীয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:২৮ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:২৮ PM

bdmorning Image Preview


১৮৯ জন আরোহী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারের ফ্লাইটের চালক ছিলেন একজন ভারতীয়। তার নাম ভব্য সুনেজা। ৩১ বছর বয়সী ওই পাইলট দিল্লির বাসিন্দা।

এনডিটিভি জানায়, নিখোঁজ ভব্য সুনেজা সাত বছর আগে লায়ন এয়ারের ফ্লাইটে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি শিক্ষানবিশ পাইলট হিসেবে সেখানে কাজ করেন।

সোমবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই জাভা সাগরে পড়ে যায় এই বোয়িং বিমানটি।

বেল এয়ার ইন্টারন্যাশনাল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সুনেজা। পরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি পাইলট হিসবে কাজ করেন তিনি। এরপর যোগ দেন লায়ন এয়ারে। সুনেজা বোয়িং ৭৩৭ বিমান চালনাতে পারদর্শী ছিলেন বলে জানা গেছে।  

উদ্ধার অভিযান পরিচালক বামবাং সূর্য অজি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ধারণা কেউ বেঁচে নেই, যেসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই অক্ষত নয়। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর ১৮৯ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

আজ সোমবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর থেকে ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার অল্প সময় পর সাগরে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেলের উড়োজাহাজটি একবারেই নতুন।

লায়ন এয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডওয়ার্ড সাইরেইট বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বোয়িং জেটটি মেরামতের জন্য সাময়িকভাবে নিচে নামানোর প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, বালির দেনপাসারে এটি মেরামত করা হয়। এরপরই এটি জাকার্তার উদ্দেশে উড়াল দেয় সমস্যার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করেই।

আজ সোমবার ভোরে জাকার্তার প্রকৌশলীরা বিমানটির বিষয়ে নোট পেয়েছিলেন। উড্ডয়নের আগে তাঁরা আরেকবার এটি মেরামত করেন। অবশ্য এটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের সাধারণ নিয়ম।

স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা ছেড়ে যায় জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি। এক ঘণ্টার মধ্যে পাংকাল পিনাংয়ের দেপাতি আমির বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল ফ্লাইটটির। তবে ওড়ার ১৩ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফ্লাইটটির। শেষ মুহূর্তে পাইলটকে জাকার্তার সুকর্ন হাত্তা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে বলা হয়। বিমানটিকে সর্বশেষ সাগর পাড়ি দিতে দেখা যায়। বিমানটিতে তিন শিশুসহ ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া দুজন পাইলট ও ছয়জন কেবিন ক্রু ছিলেন।

Bootstrap Image Preview