Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইন্দোনেশিয়ান বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ জনের কেউ বেঁচে নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১৩ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১৫ PM

bdmorning Image Preview


ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারলান্সের বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী ও ক্রুসহ ১৮৯ জনের মধ্যে সবাই নিহত হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধার ও অনুসন্ধান সংস্থা সোমবার এ কথা জানায়। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। খবর এএফপি’র।

উদ্ধার অভিযান পরিচালক বামবাং সূর্য অজি সাংবাদিকদেও বলেন, ‘আমার ধারণা কেউ বেঁচে নেই, যেসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই অক্ষত নয়। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর ১৮৯ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

আজ সোমবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর থেকে ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার অল্প সময় পর সাগরে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেলের উড়োজাহাজটি একবারেই নতুন।

লায়ন এয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডওয়ার্ড সাইরেইট বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বোয়িং জেটটি মেরামতের জন্য সাময়িকভাবে নিচে নামানোর প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, বালির দেনপাসারে এটি মেরামত করা হয়। এরপরই এটি জাকার্তার উদ্দেশে উড়াল দেয় সমস্যার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করেই।

আজ সোমবার ভোরে জাকার্তার প্রকৌশলীরা বিমানটির বিষয়ে নোট পেয়েছিলেন। উড্ডয়নের আগে তাঁরা আরেকবার এটি মেরামত করেন। অবশ্য এটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের সাধারণ নিয়ম।

স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা ছেড়ে যায় জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি। এক ঘণ্টার মধ্যে পাংকাল পিনাংয়ের দেপাতি আমির বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল ফ্লাইটটির। তবে ওড়ার ১৩ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফ্লাইটটির। শেষ মুহূর্তে পাইলটকে জাকার্তার সুকর্ন হাত্তা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে বলা হয়। বিমানটিকে সর্বশেষ সাগর পাড়ি দিতে দেখা যায়। বিমানটিতে তিন শিশুসহ ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া দুজন পাইলট ও ছয়জন কেবিন ক্রু ছিলেন।

Bootstrap Image Preview