Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রমিকরা আটকে রাখল অ্যাম্বুলেন্স, ভেতরেই মারা গেল শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০১ PM
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০১ PM

bdmorning Image Preview


মৌলভীবাজারের বড়লেখায় শ্রমিকদের ধর্মঘটে দফায় দফায় আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরই মারা গেল সাতদিন বয়সী এক শিশু।

রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চান্দগ্রাম এলাকায় শ্রমিকদের আটকে রাখা অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর মারা যায় ওই শিশু।

মৃত শিশুটি বড়লেখা সদর ইউনিয়নের অজমির গ্রামের কুটন মিয়ার মেয়ে। মাত্র সাতদিন আগে শিশুটির জন্ম হয়েছিল। এখনো তার নাম রাখা হয়নি।

জানা যায়, শিশুটির মা সায়রা বেগম মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজমির এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী কুটন মিয়া দুবাই থাকেন। তাঁর সাতদিন বয়সি অসুস্থ শিশু ও শিশুর চাচা আকবর আলী ফুল মিয়াকে নিয়ে আজ সকাল ৯টার দিকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।

কাঁদতে কাঁদতে মৃত শিশুর চাচা আকবর আলী বলেন, রাত থেকে বাচ্চাটা কোনো কিছু খাচ্ছিল না, শুধু কাঁদছিল। রবিবার সকালে আমরা শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত সিলেট নেয়ার জন্য বলেন। চিকৎসকের কথামতো আমরা বাচ্চাটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সিলেট যাওয়ার পথে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজারে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়। একইভাবে দাসেরবাজার এলকায় আবারও অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় শ্রমিকরা। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে চান্দগ্রাম বাজারে গেলে আবারও গাড়িটি আটকায় শ্রমিকরা। এ সময় সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। পরে সেখানেই শিশুটি মারা যায়। এরপর আমরা বিয়ানীবাজার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন, অনেক আগেই শিশুটি মারা গেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আহমদ হোসাইন জানান, শিশুটির উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল এবং এজন্য তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তারা সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করে। তবে পথে দুইবার বাধা দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় পথেই শিশুটি মারা যায়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। তবে কেউ এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

Bootstrap Image Preview