ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
নদীতে বাঁধ দেয়ার প্রতিবাদে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর ফলে পাকিস্তানের ক্যাবল টিভি অপারেটররা বলিউডের কোনো গান বা ছবিসহ ভারতীয় কোনো খবর বা বিনোদনের কোনো অনুষ্ঠানই আর প্রচার করতে পারবে না।
বিবিসির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সব টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে। নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় খারিজ করে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের স্পষ্ট দাবি, ''পাকিস্তানের ৮০ শতাংশেরও বেশি সেচভিত্তিক কৃষিজমি সিন্ধু নদ ও তার উপনদী, শাখানদীগুলোর ওপর নির্ভরশীল। প্রায় প্রতিটা নদীরই উৎসস্থল হিমালয়। ভারত এখানেই নিজেদের অস্ত্র ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত নদীতে বাঁধ দিয়ে ওরা আমাদের সমস্যায় ফেলতে চাইছে। তাই আমরাও যোগ্য জবাব দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম। যে দেশ আমাদের সঙ্গে এমন কাজ করছে তাদের দেশের চ্যানেল এখানে সম্প্রচার করার কোনো মানে হয় না।''
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতীয় টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়। একইভাবে ভারতীয় সিনেমাও পাকিস্তানের মানুষ ভীষণ পছন্দ করেন। তবে অতীতেও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ২০১৬ সালেও কাশ্মীরে উত্তেজনার সময় পাকিস্তান প্রশাসন সে দেশে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করেছিল। এবারও একই কাজ করল তারা।
লাহোর আদালতের রায় নাকচ করে প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার জানিয়ে দেন, ভারত আমাদের পানি দেওয়া বন্ধ করেছে। আমরা ওদের চ্যানেল বন্ধ করতে পারব না কেন! যদিও পানিবন্টনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অভিযোগ আগে থেকেই অস্বীকার করে আসছে ভারত।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও সিনেমা জনপ্রিয়। কিন্তু, দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আগেও প্রতিবেশী দেশের চ্যানেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
এর আগে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের জের ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। পরে ২০০৮ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটির আদালত। আবার নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।