নওগাঁর পত্নীতলার নিরমইল ইউপি'র হালিমনগরে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য নেই কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। যাতে করে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ৩ শতাধিক শিশু।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার ২ নং নির্মইল ইউপি'র আওতাধীন হালিমনগর গ্রামে প্রায় আড়াই'শ পরিবারে ৪ শতাধিক সন্তান। এরই মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। ওই এলাকার চারদিকে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার ফলে শিক্ষার্জন থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা ঠিক তেমনি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অবিভাবকদের।
বিশেষ করে বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্জনের জন্য অন্যস্থানে স্থাপিত বিদ্যালয়গুলোতে গেলেও সময়মত পৌঁছাতে পারে না এমনটা জানিয়েছে অভিভাবকরা। শিক্ষা বঞ্চিত শিশুরা দূরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেঁটে শিক্ষার্জন করতে না যেতে পেরে অনেকে বইখাতার বদলে হাতে থলে আর ঝাঁড়ু নিয়ে পাশের বনে যায় পাতা কুড়ানোর জন্য যাতে পাতা বিক্রয় করে কিছুটা হলেও সে পরিবারের কাজে আসতে পারে।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি, আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে বেশিরভাগ অভিভাবক নিরক্ষতার বেড়াজালে আটকা পড়েছি। আবার সেই একই অভাবে আমাদের সন্তানরাও কি নিরক্ষর থাকবে? অনেকে আবার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর একটি মাত্র প্রয়াস নিয়ে পাশের উপজেলা সাপাহার সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে দিনাতিপাত করছে বলেও জানান এলাকাবাসী।
বর্তমানে ওই এলাকার শিশুদের সামনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয় সে প্রেক্ষিতে হালিমনগরে একটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হোক শিক্ষাবান্ধব সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এমনটাই জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।