সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টয়লেটের ভেতর পাওয়া গেল মার্জিয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর লাশ।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশোটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, মার্জিয়া উপজেলার শ্রীপুর (উওর) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লামাকাঁটা গ্রামের কয়লা পরিবহন শ্রমিক সর্দার সাইকুল ইসলামের স্ত্রী ও একই এলাকার বাঁশতলা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামাকাঁটা গ্রামের ৯ মাস বয়সী এক শিশু কন্যার জননী গৃহবধূ মার্জিয়া খাতুন শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যান। দ্বীর্ঘসময় পেড়িয়ে গেলেও টয়লেটে থেকে ফিরে না আসায় স্বামী সাইকুল টয়লেটের ভেতর স্ত্রীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর পরিবারের লোকজন টয়লেট থেকে গৃহবধুর সংজ্ঞাহীন দেহ বসত ঘরের মেঝেতে এনে রাখেন।
পরে স্থানীয় পল্লী চিকিসক রাত প্রায় ৩টার দিকে লামাকাঁটায় গিয়ে ওই গৃহবধুকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী সাইকুল জানান, বিয়ের পর জানতে পারি মার্জিয়ার মৃগী রোগ ছিল। আমার ধারণা মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েই সে টয়লেটের ভেতর পড়ে গিয়ে মারা যায়।
নিহতের বাবা মোস্তফা মিয়া বলেন, প্রায় তিন বছর পূর্বে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের আগে আমার মেয়ের মৃগী রোগ ছিল না কীভাবে মারা গেছে তাও আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
তাহিরপুর থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মুহিত মিয়া শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডাক্তারী রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কী কারণে ওই গৃহবধূ মারা গেছেন।