সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছে তা সৌদি আরবের কাছে জানতে চেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে এরদোয়ান জানিয়ে দিলেন খাশোগি হত্যা ইস্যুতে রিয়াদকে বিন্দুমাত্রও ছাড় দেবে না আঙ্কারা। একই সঙ্গে তিনি খাশোগির লাশেরও সন্ধান দাবি করেছেন।
ভাষণে এরদোয়ান জানান, তুর্কি তদন্তকারীদের কাছে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের অনেক প্রমাণ রয়েছে। যেগুলো এ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে তারচেয়েও বেশি তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। সময় হলে সেগুলো প্রকাশ করা হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, খাশোগি হত্যার স্থানীয় সহযোগিতাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে সৌদি আরবকে।
এরদোয়ান বলেন, ‘কে নির্দেশ দিয়েছে? কে ১৫ জনকে তুরস্কে আসার নির্দেশ দিয়েছে?’ তিনি জানান, সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর তুরস্কের পাবলিক প্রসিকিউটরের সঙ্গে ইস্তানবুলে রবিবার বৈঠক করবেন।
সৌদি যুবরাজ সালমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যদি আপনার ওপর তোলা হত্যার অভিযোগ থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই ১৮ জন ব্যক্তি হলো তার মূল চাবিকাঠি। আপনি জানেন মানুষ কিভাবে কথা বলছে। যদি আপনি তাদের মুখ বন্ধ করতে চান তাহলে আটক ওই ব্যক্তিদের আমাদের হাতে হস্তান্তর করুন। যেহেতু ঘটনাটি ইস্তাম্বুলে ঘঠেছে সেহতেু এখানেই তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
এছাড়াও এরদোয়ান সৌদি কে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘যে স্থানীয় সহচরের মাধ্যমে আপনারা খাশোগির মরেদেহ সরিয়ে ফেলেছেন তার পরিচয়টা আমাদেরকে দিন।’
এদিকে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে একাধিকবার নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সৌদি আরব স্বীকার করে এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। এক সরকারি কৌঁসুলিকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-আখবারিয়া টিভি এ খবর জানায়।
সৌদি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এ ব্যাপারে সরকারি আইন বিভাগ সন্দেহভাজনদের ব্যাপারে তাদের তদন্ত অব্যাহত রেখেছে, যাতে ন্যায় বিচার সম্পন্ন করা যায। সৌদিরা এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে এবং ১৮ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পসহ আন্তর্জাতিক সমালোচকরা বলছেন যে কার্যত সৌদি আরবের যিনি নেতা , যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান , তাঁকেই শেষ পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের দায় বহন করতে হবে।