Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গণবি'র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের প্রবেশের মুখের রাস্তা দখলের অভিযোগ

ফায়জুন সিতু, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩২ PM
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩২ PM

bdmorning Image Preview


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য পিএইচএ ভবন এবং ভবনে প্রবেশের মুখে ১৬ শতাংশ রাস্তা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শুক্রবার দ্যা ‘কটন টেক্সটাইল  নামের একটি প্রতিষ্ঠান ডা. জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য পিএইচ ভবন দখল নেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কিছু স্থানীয় ব্যক্তি গণস্বাস্থ্য পিএইচএ ভবনে প্রবেশের রাস্তা কাটছেন। এ ছাড়া সেখানকার সিকিউরিটি পোস্টের ভবনটিও ভেঙে নিজেদের দখলে নিতে শুরু করেছেন তারা। এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের রাস্তা কেটে ইট সরিয়ে ফেলা এবং ভবনের অভ্যন্তরে ঢুকে গাছ কাটতে দেখা যায়।

গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল আনুমানিক ১০টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচইএ ভবনে একদল দুস্কৃতিকারী বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে দ্য কটন টেক্সটাইল মিলের নামে কয়েকটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৩টি ছাত্রী ও নারী স্বাস্থ্য কর্মীদের হোস্টেলেও হামলা করে হোস্টেলের ছাত্রী ও নারী স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে দূরব্যবহার করে তাদেরকে হোস্টেল থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে বের হতে নির্দেশ দিয়ে হোস্টেলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ছাত্রীদের চিৎকারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ছাত্র হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্র এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা পিএইচএ ভবনে অবস্থান নিয়ে ভবনের ইন্টারনেট কানেকশন বিচ্ছিন্ন করে ইন্টারনেট রাউটার, সাউন্ড সিস্টেম, ১৪টি টেলিভিশন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি নিয়ে তারা আনুমানিক মূল্য ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং পিএইচএ ভবনের নীচতলায় ভাংচুর করে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদের ক্ষতি করে। 

এসময় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অনার্স সম্পন্নকারী ছাত্র র‍্যাবের নির্যাতনে পা হারানো ঝালকাঠির লিমন হোসেন তাদের কাছে ভাংচুরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে হামলাকারীরা লিমনকে আঘাত করে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। লিমন বর্তমানে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরে গণস্বাস্থ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকের প্রতিরোধে মুখে সরে যায় হামলাকারীরা। 

উল্লেখ্য যে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৯৮৭ সনের পূর্বে উক্ত সম্পত্তি প্রকৃত মালিকদের কাছে থেকে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছে এবং উক্ত জমিতে ৬তলা বিল্ডিং করে ২০০০ সনের ডিসেম্বরে বিশ্বের ১০৫টি দেশের ১৫ শতাধিক অংশগ্রহণকারীর সমন্বয়ে জনগণের স্বাস্থ্য সম্মেলন (পিএইচএ) করে। সেই থেকে উক্ত ভবনটি পিএইচএ ভবন হিসেবে পরিচিত।

দ্য কটন টেক্সটাইল মিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে প্রথম ১৯৮৯ ইং সনে সাভার সহকারী জজ আদালতে মামলা করে। যার মামলা নং ৪/৮৯। পরে এই মামলা খারিজ হয়ে যায়। ১৯৯২ ইং পুনরায় তারা অপর একটি মামলা করে, যার নং ২১১/৯২। এরপর ২০১২ ইং এবং ২০১৭ সনে আরো দুটি মামলা করে। যা ঢাকা ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চলমান। উক্ত মামলাগুলি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এছাড়াও ৬ষ্ঠ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে অপর একটি মামলা, যার নম্বর ৯৫/২০১৩ বিচারাধীন আছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যায়।

Bootstrap Image Preview