Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নন্দীগ্রামে ভুয়া সমাজসেবা সাব-অফিস খুলে প্রতারণার অভিযোগ

জোবায়ের রানা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩১ AM
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৪ AM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি পাড়া গ্রামে হাজারকি পাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস ব্রাঞ্চ-৯ নামে ভুয়া একটি ব্রাঞ্চ খুলে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল মোমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভুয়া সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস খুলে সাধারণ মানুয়ের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে আটক করা হয়। পরে উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে ইসমাইল হোসেন তার প্রতারণার কথা স্বীকার করে অর্থ ফেরৎ দেয়ার অঙ্গীকার করলে ও পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া তার কাছে থাকা সমিতির সীল জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এই উপজেলায় সমাজসেবা অফিসের কোনো সাব-অফিস নেই।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওসমান ফকিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন নিজেকে ওই সাব-অফিস এর নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা বলে এলাকায় প্রচার করে। সে বিভিন্ন বাজারে ও লোক সমাগম হয় এমন স্থানে বসে ভূয়া ওই সাব-অফিসের কথা বলে। অচিরেই হাজারকি পাড়া গ্রামে হাজারকি পাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস ব্রাঞ্চ-৯ এর অফিস স্থাপন করা হবে বলেও প্রচার করেন তিনি। এ ব্রাঞ্চে কার্যক্রম শুরু করার কথা বলে ইসমাইল হোসেন বেকারদের চাকরি ও প্রায় অর্ধশতাধিক নিরীহ নারী-পুরুষকে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধার কার্ড করে দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

এর মধ্যে প্রতারক ইসমাইল হোসেন কৌশলে ওই এলাকায় হামিদ বাজারে সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস ব্রাঞ্চ-১০ খোলার কার্যক্রম শুরু করেন। তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে বিষয়টি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল মোমিনকে জানান।  

এরপর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল মোমিন গত বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ছদ্দবেশে প্রতারক ইসমাইল হোসেনকে ধরার জন্য ওই এলাকায় হামিদ বাজারে অবস্থান করেন। এরপর বাজারে উপস্থিত লোকজনদের সাথে নিয়ে ইসমাইল হোসেনকে আটক করেন তিনি।

পরে উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে ইসমাইল হোসেন তার প্রতারণার কথা স্বীকার করে সমদুয় অর্থ ফেরৎ দেয়ার অঙ্গীকার করলে মুচলেকা নিয়ে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

Bootstrap Image Preview