তুরস্কে সৌদির সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় রিয়াদের বিনিয়োগ সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের বিশিষ্টজনরা। এর মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনসহ অন্যান্য আরও কয়েকটি দেশের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বয়কটের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করেই বিশ্বব্যাপী তুমুল সমালোচনার মধ্যেই সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্মেলনটি। এবং সেখানে পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ২৫টির বেশি চুক্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সৌদি আরবের ওই বিনিয়োগ সম্মেলন ‘দাভোস ইন ডেজার্ট’ নামে খ্যাত। ২০১৮ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সুইজারল্যান্ডের দাভোসে। সেই সম্মেলনে বিশ্বের শীর্স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত হন। বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি ও প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণের বিষয়ে সেখানে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রিয়াদের ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট সামিটকেও’ তেমন বড় অর্থনৈতিক সম্মেলন হিসেবে গণ্য করা হয়।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশুগজি খুনের ঘটনায় সৌদি আরব জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মন্ত্রীরাসহ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা মিলে দুই ডজনেরও বেশি মানুষ সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দেয়।
শেষ পর্যন্ত ভালোভাবেই শেষ হয় ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী এই ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ কনফারেন্স’। বয়কটের বিষয়টি থাকলেও সম্মেলনে যোগ দিয়েছির বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েকশ ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। ২৫টিরও বেশি দেশ বয়কটের বিষয়টিকে তোয়াক্কা না করে পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ২৫ টিরও বেশি চুক্তি সই করেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সম্মেলন নিয়ে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের তৎপরতা ছিল ব্যাপক। তিনি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিভিন্ন দেশের অতিথিদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, খাশোগির হত্যাকাণ্ডের প্রভাবে দেশটির সংস্কার কর্মসূচি থেমে যাবে না।
তবে যে সকল দেশ সম্মেলন বয়কট করেছে তাদের ব্যাপারে এখনও কোনো কথা বলেননি সৌদি যুবরাজ।