Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিশু আঁখি হত্যা; ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেন খালু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১৪ AM
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১৯ AM

bdmorning Image Preview


মানিকগঞ্জে উদ্ধার করা শিশু আঁখি (১২) হত্যার রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, শিশুটির আপন খালুই তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। তার পর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বুধবার মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের ডিআইও-১ মুহম্মদ আশরাফুল আলম দাবি করেছেন, এরই মধ্যে সন্দেহভাজন শাহাদাত হোসেনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দিয়েছেন।

গত ২১ অক্টোবর দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর থেকে আঁখির পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই দিনই থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

শাহদাতের গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বড় শ্যামপুর গ্রামে। এলাকাটি চকমিরপুরের পাশে। আর আঁখি তার নানাবাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দীঘুলিয়া গ্রামে থাকত। তার বাবা নেই, মা আছে।

হত্যাকারী শাহাদাতকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, শাহাদাত সাভারের হেমায়েতপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। কিছুদিন আগে আঁখি নানাবাড়ি থেকে সেখানে বেড়াতে যায়। গত ১৮ অক্টোবর শাহাদাত আঁখিকে নানাবাড়ি সাটুরিয়ার বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে নিয়ে বের হন। কিন্তু তিনি শিশুটিকে নানাবাড়িতে না পাঠিয়ে নিজের গ্রামের পাশের চকমিরপুরে নিয়ে যান। পরে রাতে একটি মাঠের মধ্যে পরিত্যক্ত ডিপ শ্যালো মেশিনের ঘরে ধর্ষণ করেন। তার পর শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করেন। শেষে আলামত গোপন করার জন্য শিশুটির গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।

এই পুলিশের কর্মকর্তা আরো বলেন, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হাইসহ একটি দল শাহাদাত হোসেনকে ঢাকার ধামরাই থানার বারবারিয়া স্কেল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।

Bootstrap Image Preview