সৌদি আরব খাশোগিকে হত্যা করে তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনসল্যুটে ঢুকে নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর জামাল খশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করার প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি খাশোগি হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কিছু সৌদি নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছেন।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিককে মেরে ফেলায় মিত্র দেশ সৌদি আরবের কড়া সমালোচনা করেন। এ ধরনের ঘটনা ‘কখনই ঘটা উচিত ছিল না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি একটি বাজে ব্যাপার। এ ধরনের কিছু ঘটেছে তা কখনই ভাবিনি। তারা এই হত্যাকাণ্ড সবচেয়ে বাজেভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে।
এদিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ সৌদি নাগরিকের মার্কিন ভিসা বাতিল কিংবা অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এ সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদির বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর পর থেকে এসব সৌদি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে খাশোগি হত্যার ঘটনা পরিকল্পিত নির্মম হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে দায়ীদের সাজা দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তিনি বলেন, ঘাতকরা যত উচ্চপর্যায়েরই হোক তাদের সবাকেই শাস্তি পেতে হবে।
গত ২ অক্টোবর খাশোগি তুরস্কে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তুরস্ক সৌদি চররা তাকে খুন করেছে বলে দাবি করে এসেছে।
তবে সৌদি আরব প্রথমে তা অস্বীকার করে এবং ঘটনার ১৭ দিন পর খাশোগি খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু খুনের ঘটনা নিয়ে দেশটি একাধিকবার বিবৃতি পাল্টেছে। মরদেহ কোথায় আছে তাও জানা নেই বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।