সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার ঘটনায় সংকটে পড়েছে সৌদি আরব। তার দেশ এখন বিশ্ববাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন সৌদি জ্বালানী মন্ত্রী খালিদ আল-ফালেহ। মঙ্গলবার রিয়াদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি। খাশোগি হত্যা ইস্যুতে সম্মেলনটি বয়কট করেছে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
খালিদ ফালিহ বলেন, ‘এ দিনগুলো খুন কঠিন। আমরা গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
সৌদি রাজতন্ত্রের কেউই খাশোগি হত্যাকাণ্ডে পক্ষে বলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ড অনুতপ্ত হওয়ার বিষয়।’
তেল নির্ভরতা কমিয়ে আনতে সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছিল। এ সম্মেলনে কোটি কোটি ডলার নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে ধারণা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কারণে এটি অনেংকাংশে ব্যর্থ হয়েছে।
খাশোগি হত্যা নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নের্তৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অস্বীকার সত্ত্বেও হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার শক্তিশালী অভিযোগ ওঠায় ইমেজ সংকটে সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী এই যুবরাজ।
তুর্কি বাগদত্তার সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় শুক্রবার সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল কসন্যুলেটেই সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির দাবি, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমদ আল আসিরি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অন্যতম দেহরক্ষি সৌদ আল কাতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে।