Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে কারণে হত্যার পর খাসোগির আঙুল কেটে সৌদিতে পাঠায় ‘টাইগার স্কোয়াড’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৪৮ PM
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর ‘মিশন সাকসেস’ হয়েছে তা প্রমান করতে খাসোগির হাতের আঙুল কেটে রিয়াদে পাঠানো হয়। খুনের নির্দেশদাতার কাছে আঙুল পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে, ব্রিটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকা।

সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই খাসোগিকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করে সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের একটি ডেথ স্কোয়াড। অভিযোগ উঠেছে, এই হত্যার নির্দেশ দেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্বয়ং। যদিও সৌদি আরব এই ঘটনায় যুবরাজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই ঘাতক দলের প্রধান ব্যক্তি মুতরেব সেদিনকার হত্যাকাণ্ডের আগে অন্তত ১৫ বার কনস্যুলেটের ভেতর থেকে স্বদেশে ফোনে কথা বলেন। এর মধ্যে সাতবার ফোন করেন যুবরাজের কার্যালয়ে। এসব ফোনরেকর্ড উদ্ধার করার দাবি করেছে তুরস্ক। তবে স্বয়ং যুবরাজের সঙ্গে কথা বলেছিলেন নাকি অন্য কারো সঙ্গে তা প্রকাশ করা হয়নি।

পাশ্চাত্যের মিডিয়া বলছে, খাসোগিকে হত্যায় দায়ী স্কোয়াডের নাম টাইগার স্কোয়াড। আরবিতে ‘ফিরকাত এল-নেমর’। এই স্কোয়াড সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই জানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এক বছর আগে এই স্কোয়াড গঠন করা হয়। সৌদি আরবের বিভিন্ন গোয়েন্দা ও সামরিক সংস্থার দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ৫০ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয়েছে স্কোয়াডটি। এদের প্রত্যেকেই যুবরাজের প্রতি অন্ধভাবে অনুগত।

এই টাইগার স্কোয়াডের প্রধান কাজ হচ্ছে গোপনে সৌদি আরবের ভেতরে ও বাইরে ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যা করা। এমনভাবে হত্যা করা যেন তা সংবাদমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও রাজনীতিবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ না করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হত্যা পরিকল্পনা করা হয় যাতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছাকাছি যেতে না হয়। আর তা যেন দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা যায়। যেমন, গাড়ি দুর্ঘটনা বা বাড়িতে অগ্নিসংযোগে হত্যা।

Bootstrap Image Preview