গত রবিবার নারায়ণগঞ্জের সড়কের ধারে চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে তাদেরকে পুলিশ খুন করেছে। তবে অভিযোগ বিশ্বাস করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। অ্যাপভিত্তিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা উদ্বোধন করতে সেখানে যান তিনি।
গত রবিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে চার জনের মরদেহ পাওয়া যায়। তাদের সবাইকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে মাথায়।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পরে লুৎফর রহমান মোল্লা নামে এক গাড়ি চালককে শনাক্ত করেছেন তার স্ত্রী রেশমা বেগম। আর পরদিন স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে বাকিদেরকে শনাক্ত করেন। এরা হলেন পাবনার আতাইকুলা থানাধীন পুষ্পপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল, একই গ্রামের খাইরুল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার এবং জামাল প্রামাণিকের ছেলে ফারুক প্রামাণিক।
এদের মধ্যে ফারুক ভুলতা থেকে গুলিস্তানগামী গ্লোরী পরিবহনের বাস চালাতেন। তার স্ত্রী তাসমিয়া বেগম জানিয়েছেন, শুক্রবার পুলিশ এসে তার স্বামীসহ চার জনকে ধরে নিয়ে যায়। রাতে স্বামীর জন্য ভাত নিয়ে ভুলতার পুলিশ ফাঁড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে স্বামীকে দেখেও আসেন। আর পরে বরিবার সকালে জানতে পারেন চার জনের মরদেহ পাওয়ার কথা।
তাসমিয়ার এই বক্তব্যে সন্দেহের তীর পুলিশের দিকে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি এই তথ্য অস্বীকার করেছে। বাহিনীটি এই ঘটনাতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে সংঘর্ষে এই খুন হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ খুন পুলিশ করেছে- আমার মনে হয় কথাটি সত্য নয়। পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে একথাও সত্য নয়। যেই উধাও হয় তখনই পরিবারের লোকজন এসে বলে পুলিশ নিয়ে গেছে। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারব না। অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিচার হবে কেউ আইনের ওপরে নয়।