বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটুক্তি করায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এবার ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও নারী নেত্রী খাদিজা আক্তার স্বপ্না বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দায়িত্বরত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ মোঃ ছানাউল হক কোন প্রকার ওয়ারেন্ট না দিয়ে মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্তের আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। এসময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কি-না?
এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আপনার দুঃসাহসের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। তার এ কটুক্তি মানহানিকর, যা টেলিভিশন লাইভে সমগ্র নারী জাতিকেই সম্মানহানি করেছে এবং গণমাধ্যমের নারী সাংবাদিকসহ সকল নারী জাতিকে মর্মাহত করেছে যাহা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী ও মানহানিকর।
উক্ত দায়েরকৃত মামলার ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের নারী নেতৃদের সাথে একত্রতা প্রকাশ করে সহোযোগীতা করেন, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ এর সমাজকল্যাণ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
বাদী খাদিজা আক্তার স্বপ্নার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, এপিপি শোয়েব হোসেন মামুন, সিনিয়র আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম, নারী ও শিশু পিপি গোলাম মোর্শেদ কিরণ তালুকদার, এপিপি মেজবাহুল আলম ও এডভোকেট ফিরোজ শাহ।
মামলার বাদী খাদিজা আক্তার স্বপ্না জানান, একাত্তর টেলিভিশনে ব্যারিস্টার মইনুল নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে যে গালি দিয়েছেন আমি মনে করি সমগ্র নারীদের জন্য এটা অপমানকর ব্যাপার। এরকম ঘটনা যেনো ভবিষ্যতে আর না হয় এ জন্য আমি সংক্ষুব্দ হয়ে মামলাটি করেছি।
এসময় মহিলা লীগের নারী নেত্রী ও বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের প্রভাষক রেহনা ফেরদৌস, যুব মহিলা লীগের সদস্য রুমা আক্তারসহ অনন্যা নারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এপিপি শোয়েব হোসেন মামুন জানান, আমরা চেয়েছিলাম এ মামলায় যাতে আসামির ওয়ারেন্ট হয়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত মনে করেছেন মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্ত হয়ে আসুক, তার পর ব্যবস্থা নিবে। আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেখা যাক আগামী ২৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য তারিখে কি হয়। আশা করি আমরা সুবিচার পাবো।