সন্ধায় যখন চারিদিকে অন্ধকার, ঠিক তখনই দেবরের ছেলের ডাকে ঘরের বাহিরে যান আদিবাসী গৃহবধূ। তার ডাকে বাড়ির বাহিরে যেতেই ৩০ বছর বয়েসি ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে কয়েকজন। পরে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি।
ভারতের ধূপগুড়ির নিরঞ্জনপাটের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে গণধর্ষণ করে শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছে তারই শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় তারা।
তিনি বলেন, ব্যথায়-রক্তপাতে অচেতন হয়ে সারা রাত পড়েছিলেন তিনি। পরে গতকাল রবিবার এক ভ্যানচালক তাকে দেখতে পেয়ে গ্রামে খবর দেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে দেবরের ছেলের সঙ্গে তারই দু’জন বন্ধু ছিল বলে জানান ওই নারী। পুলিশের কাছে ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে। এ ঘটনায় দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বয়স কুড়ির ঘরে। সকলেরই বাড়ি মহিলার গ্রামেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে দিনমজুর পরিবারের এই বধূকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চিকিৎসক মৌমিতা শর্মা বলেন, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। একটু সুস্থ্য হলে অস্ত্রোপচার করা হবে। রক্ত দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের এডিজি অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, নিরঞ্জনপাটের ঘটনায় জেলা পুলিশকে ৩ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমির ভাগাভাগি নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। সেই রাগেই অত্যাচার করা হয় বলে ওই মহিলা ও তার স্বামী ধূপগুড়ি থানায় দাবি করেছেন।