মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আট হাজার জন শিগগির জিজ দেশে ফিরে যাবে। নেপিদোর ‘তৎপরতার প্রেক্ষিতে’ এশিয়া-ইউরোপ সামিটে (আসেম) বিশ্বনেতাদের সামনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ১২তম এশিয়া-ইউরোপ সামিটে বক্তৃতা করছিলেন মাহমুদ আলী।
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রেক্ষিতে সেখান থেকে পালিয়ে গত প্রায় দেড় বছরে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে এসেছে। এর আগে থেকে রয়েছে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সবশেষ দফায় দমন-পীড়ন শুরু হলে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকে এই দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বলেও আখ্যা দেয়। তবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপের মুখে মিয়ানমার এই নিপীড়নযজ্ঞ বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায়।
ঢাকা অভিযোগ করে আসছিলো, চুক্তি হলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলতে চাইছে। এরমধ্যে অবশ্য প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকার একটি অংশ গ্রহণের কথা জানায় মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সার্বিক সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
বক্তব্যে এশিয়া ও ইউরোপের সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়ে মাহমুদ আলী বলেন, অবকাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে এশিয়া ও ইউরোপের যোগসূত্র বাড়াতে হবে। এছাড়া সার্বিক উন্নয়নের জন্য মানুষে মানুষে যোগাযোগও বাড়াতে হবে।
ব্রাসেলসে অক্টোবরের ১৮ থেকে ১৯ তারিখে ‘গ্লোবাল পার্টনার্স ফর গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১২তম এশিয়া-ইউরোপ সামিট (আসেম) অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫৩টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পরবর্তী সামটি কম্বোডিয়ায় ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হবে।