জিম্বাবুয়ে সিরিজে টাইগার দলে নেই দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এই দুই খেলোয়াড়কে রেখে মাঠে নামা যে কোন ফর্মেটেই টাইগারদের জন্য বাড়তি চাপ। সেই চাপ কখনো এসে পড়ে দলের জুনিয়র খেলোয়াড়দের উপর। কিন্তু খেলার মাঠে এই জুনিয়র ও সিনিয়র শব্দটা একে বারেই পছন্দ নয় সাকিবের।
আগামীকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবেন মাশরাফি। তাই এই ম্যাচে জুনিয়রদের কাছ থেকে ভালো ফল পাওয়া যাবে এমন পরামর্শকমূলক কথা জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন,আমার কাছে জুনিযর সিনিয়র শব্দটাই পছন্দ হয় না। কারণ আমার কাছে মনে হয় যারা দলে আছে তারা সবাই খেলার জন্য সামর্থ্যবান। তা না হলে কেউ থাকতো না। এখানে সিনিয়রের কম দায়িত্ব, জুনিয়রের কম দায়িত্ব এরকম কোনো বিষয় নেই। সবার একটা দায়িত্ব কিভাবে দলের হয়ে ম্যাচটা জেতাতে পারবে। সেই চেষ্টা সবাই করবে। কোনোদিন দুই-তিনজন ভালো খেলবে। কোনোদিন চার-পাঁচজন ভালো করবে। একটা ম্যাচে ১১জন ভালো খেলা খুবই কঠিন। সেটা যদি খেলে তাহলে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিততে পারবে।
যারা দলে থাকে ভালো করে দলে আসে। আর যারা দলে থাকে না তারা একটু ফর্মের কারণে বাদ পড়ে। তারমানে এই না যে যে দলে থাকে না সে খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ। আবার যে দলে আছে সে খেলোয়াড় হিসেবে ভালো। যখন যার সুযোগ আসবে সে অবশ্যই চেষ্টা করবে যেন পারফর্ম করতে পারে। দলের হয়ে অবদান রাখতে পারে। এটাই একমাত্র ফোকাস হওয়া উচিত খেলোয়াড়ের। যারা সুযোগ পাচ্ছে না তাদেরও চেষ্টা থাকবে যেন পারফর্ম করার, সেরা পারফরম্যান্স যেন সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করা। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে। যেন যখন সুযোগ আসে সেই সুযোগটা যেন পটেনশিয়াল অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারে।
আঙুলের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বেশ কয়েক দিন হলো। আপাতত ৩ মাস বিশ্রামে থাকবেন। অল্পস্বল্প বোলিং করলেও ব্যাট ধরতে মানা। এ সময় যদি হাতে আর কোনো ব্যাথা অনুভব না করেন তাহলে আর অস্তপচারের প্রয়োজন হবে না। তবে যদি ব্যথা অনুভব করেন তাহলে অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক।