চট্টগ্রামে পৌঁছেছে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ

বিমান যোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। সেখানে তার মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পী।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার বিএস১০৩-এর একটি ফ্লাইটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছায় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। এই ফ্লাইটে আইয়ুব বাচ্চুর স্বজনসহ মোট ২০ জন রয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরীতে জানাজা শেষে আজ আইয়ুব বাচ্চুর নানাবাড়ি চট্টগ্রামের মাদারবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পীকে।

সেখানে কিংবদন্তি এই শিল্পীকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন, জানাজা ও দাফনের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেইন।

আজ বাদ আছর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ নামাজে জানাজা। জানাজা শেষে চৈতন্যগলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রুপালী গিটারের এ যাদুকর।

এরপর বিকেলে আইয়ুব বাচ্চুকে নানাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই শায়িত করা হবে ।

উল্লেখ্য, আইয়ুব বাচ্চু ১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে ইন্তেকাল করেন। ১৯ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেওয়া হয় কিংবদন্তি এ ব্যান্ড শিল্পীর মরদেহ। সেখানে সংগীত ভুবনের অনেক তারকা ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরো কয়েকজন রাজনৈতকি ব্যক্তিবর্গ আসেন শ্রদ্ধা জানাতে।

শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে বাদ জুমা তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মগবাজারে তার নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে। পরে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীত চর্চা করছিলেন। ‘ফিলিংস’ নামের একটি ব্যান্ড দিয়ে ক্যারিয়ারের সূচনা হয় তার। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ‘সোলস’ ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ছিলেন। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এলআরবি।

সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে আইয়ুব বাচ্চু ‘চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’ ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’ ‘ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘হকার’ ‘অবাক হৃদয়’ ‘আমিও মানুষ’ ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘সুখ’, ‘মন চাইলে মন পাবে’সহ অসংখ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।