Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনী প্রচারণার জন্যই গাঁজাকে বৈধ করল জাস্টিন ট্রুডো!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:০১ PM
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:০১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কানাডার বাজারে গতকাল বুধবার মধ্যরাত থেকেই গাঁজা বিক্রি ও ব্যবহার বৈধ করা হয়েছে। কিন্তু কেন বৈধ হলো গাঁজা?

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভাষ্য, বিশ্বের মধ্যে কানাডায় সবচেয়ে বেশি গাঁজা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখানে শত বছরের পুরনো আইন বহাল আছে যেখানে এটাকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে ধরা হয়। নতুন আইনে এটি অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নাগালের বাইরে রাখা যাবে এ থেকে লভ্যাংশও বের করে আনা যাবে। খবর বিবিসি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি ২০১৫ সালে যে প্রচারণা চালিয়েছিল সেটাই পরিপূর্ণতা পেল গাঁজা বৈধকরণের মধ্যে দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েই বলেছিলেন কানাডা হলো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটা দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি গাঁজা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখানে শত বছরের পুরনো আইন বহাল আছে যেখানে এটাকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে ধরা হয়।

তিনি বলছেন, নতুন এই আইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে করে সেটা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতের নাগালের বাইরে থাকে। একই সঙ্গে অপরাধীদের কাছ থেকে লভ্যাংশ বের করে আনা যাবে।

ফেডারেল সরকার ধারণা করছে, গাঁজা বিক্রির মাধ্যমে বছরে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স রেভিনিউ বাড়বে।

নতুন নিয়মে কী আছে?

প্রাপ্ত বয়স্করা গাঁজা থেকে তৈরি তেল, বীজ, গাছ এবং শুকনো পাতা কিনতে পারবেন লাইসেন্স করা কোন উৎপাদক এবং বিক্রেতার কাছ থেকে।

প্রকাশ্যে একজনের কাছে ৩০ গ্রামের বেশি গাঁজা থাকতে পারবে না।

একজন বাড়ীতে চারটির বেশি গাঁজার গাছ লাগাতে পারবে না। লাইসেন্স নেই এমন ডিলারের কাছ থেকে গাঁজা কেনা যাবে না।

গাঁজা মিশ্রিত খাবার এখনি অবশ্য পাওয়া যাবে না।

এটার জন্য একটা বিল পাশ করতে হবে এবং এক বছরের মধ্যেই এটা হতে পারে।

একটু দেরি করা হচ্ছে এই কারণে যাতে করে সরকার সুনির্দিষ্টভাবে এই পণ্য সম্পর্কে নিয়মকানুন তৈরি করতে পারে।

যদি কেউ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কারো কাছে গাঁজা বিক্রি করে তবে তার ১৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

তবে শাস্তির এই মাত্রা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

অবশ্য চিকিৎসায় রোগের উপশম হিসেবে এই দেশটি ২০১১ সালেই গাঁজা ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।

কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, বিশেষভাবে তৃতীয় বৃহত্তম শহর ভ্যাঙ্কুভারে গাঁজা ব্যবহারের চল রয়েছে বহুদিন ধরে।

ভ্যাঙ্কুভারকে বলা হয় কানাডার গাঁজার রাজধানী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাঁজার ফার্মও রয়েছে এই শহর থেকে সামান্য দূরে ফ্রেজার ভ্যালিতে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছাকাছি এটি।

Bootstrap Image Preview