দুবাই শেষ হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথমবারের মতো ওপেনিং ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।সেই ম্যাচে নিজের নামের মান রেখেছিলেন।দেখিয়েছিলেন বুকে সাহস থাকলে সব কিছুই করা যায়।লিটনের সাথে জুটি গড়ে করেছিলেন শত রানের পার্টনারশিপ।
এশিয়া কাপের সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ে সিরিজেও কি লিটনের সঙ্গী হবেন মিরাজ? এমন প্রশ্ন এখন চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে কি ভাবছেন মিরাজ?
এশিয়া কাপে ওপেন করেছেন, আরেকবার সুযোগ পেলে কি ওপেন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে দিয়ে গিয়ে মিরাজ একটু হেসে ফেলেন বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ ওপেন করেছি, আমিও ভাবি নি আমি ফাইনালে ওপেন করব। মাশরাফি ভাই ম্যাচের আগের দিন রাতে বলেছেন, সবাই যারা সিনিয়র আছে সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, যে কোন মুহূর্তে আমাকে দলের প্রয়োজনে যে কোন জায়গায় নামতে হতে পারে। আমার মানসিকতা থাকবে, যে কোন সময় এমন কিছু হতে পারে’।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব খেলবে না তাই বাড়তি চাপ একটু থাকবেই।তাই সাকিব না থাকায় নিজেকে দলের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ভাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। আমার এমন কোন অনুভূতি আসে না। সাকিব ভাই যখন খেলে, তখন চেষ্টা করি অলরাউন্ডার হিসেবে দলের জন্য ছোট ছোট অবদান রাখার। তিনি অনেক উঁচু মানের ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিয়ে আসছে। তিনি দীর্ঘদিন র্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন। তাঁর সাথে আসলে আমার তুলনা চলে না (হাসি)’।
দলের প্র্যোজনে যেই দায়িত্বই দেয়া হয় মিরাজকে মিরাজ সেটাই করে। তার জন্য মিরাজের অনেক সুনাম আছে কিন্তু
এটাতে ঝুঁকি থাকে না? জানতে চাওয়া হলে এই ডান হাতি অলরাউন্ডার আরও বলেন,‘আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। কঠিন অবস্থার চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি। আর পেছন থেকে যখন টিম ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট দেয়, আমাদের সিনিয়র প্লেয়ায়রা, সবাই যখন ব্যাক আপ করে, তখন নিজের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে যায়। ফাইনালের আগের রাতে যখন আমাকে বলা হয় ওপেন করতে হবে, তখন মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই বললো, 'করতে পারবি, সমস্যা নাই'। তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটা বাড়ল। তখন তাঁরা আরও কিছু কথা বলেছি, যে শুনে আমি আরও বেশি আত্মবিশ্বাস পেলাম। ওই জিনিসটাই, নিজেরও আত্মবিশ্বাস থাকে আর যখন পেছনে ব্যাক আপ পাই সিনিয়র প্লেয়ারদের, তখন আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। ওইটাই কাজে লেগেছে, ভাল করার পেছনে’।